হ্যালো বন্ধুরা! এটা হলো পৃথিবীর থার্মাল ম্যাপ। এই ম্যাপে আপনি পৃথিবীর আলাদা আলাদা জায়গার কারেন্ট টেম্পারেচার দেখতে পাবেন। এই ম্যাপে যে জায়গার যত গাঢ় ব্লু, সেই জায়গা তত বেশি ঠান্ডা। আর যে জায়গা যত বেশি লালের দিকে, সেটা তত বেশি গরম।
নর্থ পোল পৃথিবীর মধ্যে খুবই ঠান্ডা জায়গা। এখানকার টেম্পারেচার জিরো ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৩০-৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। কিন্তু যদি আমরা সাউথ পোলের দিকে যাই, তাহলে গল্পটা একেবারেই পাল্টে যায়। সাউথ পোল অর্থাৎ আন্টার্কটিকার টেম্পারেচার মাইনাস ৫০ থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। অর্থাৎ পৃথিবীর সাউথ পোল নর্থ পোলের থেকে কয়েক গুণ ঠান্ডা, আর সারা পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে ঠান্ডা এলাকা।
পৃথিবীর এই দক্ষিণ মেরু এতটাই বেশি ঠান্ডা যে আমাদের সম্পূর্ণ সোলার সিস্টেমের মধ্যে সবথেকে ঠান্ডা জায়গাগুলোর লিস্টের মধ্যে পড়ে। কিন্তু ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত, কারণ নর্থ পোলে এবং সাউথ পোলে সারা বছর ধরে সূর্যের আলোর পরিমাণ মোটামুটি সমানই পড়ে। তাহলে এই দুই মেরুর তাপমাত্রার মধ্যে এত বেশি ডিফারেন্স কেন?
একটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট, কেউ যদি নর্থ পোলেতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি মনে করে যে সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু আসলে তার লোকেশন ১৫-২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা স্পিডে পাল্টাতে থাকে, যেটা সেই ব্যক্তি নিজের গুগল ম্যাপে চেক করে দেখতে পারে। কিন্তু কিভাবে এই ঘটনাটা ঘটে? চলুন, আজকের ARTICLE এ এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো।
এখন আপনারা স্ক্রিনে পৃথিবীর সবথেকে বড় তিনটে মরুভূমিকে দেখতে পাচ্ছেন। একটা হলো আর্কটিক, দ্বিতীয়টা আন্টার্কটিকা, এবং তৃতীয়টা সাহারা ডেজার্ট। অদ্ভুত ব্যাপার, তাই না? আমাদের পৃথিবীর সবথেকে ঠান্ডা দুটো জায়গাকেও আমরা মরুভূমির মধ্যেই ধরি।
আসলে, আমরা যেটাকে মনে মনে মরুভূমি বলি, তার থেকে মরুভূমির সংজ্ঞাটা অনেকটাই আলাদা। সাধারণত, আমরা প্রচণ্ড উত্তপ্ত বালুময় এলাকাগুলোকেই মরুভূমি মনে করি। কিন্তু, আসলে পৃথিবীর যে সমস্ত এলাকায় বছরে ২৫০ মিলিমিটারের থেকেও কম বৃষ্টিপাত কিংবা স্নোফল হয়, সেই সমস্ত এলাকাগুলোকে সাধারণত মরুভূমির মধ্যে ধরা হয়। আন্টার্কটিকার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ১৫০ মিলিমিটার এবং আর্কটিক অর্থাৎ নর্থ পোলের ক্ষেত্রে এটা ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার।
কিন্তু আর্কটিক এবং আন্টার্কটিকা পৃথিবীর দুই মেরুতে অবস্থিত হওয়ার জন্য এই মরুভূমিগুলো অন্যান্য মরুভূমির থেকে একেবারেই আলাদা। এখানে আপনি কন্টিনিউয়াস ছয় মাস আকাশে সূর্য দেখতে পাবেন আবার কন্টিনিউয়াস ছয় মাস রাত। কারণ এই দুটো জায়গাতেই আমরা পোলার নাইট এবং মিডনাইট সান দেখতে পাই। কিন্তু জলবায়ুর এই ধরনের অদ্ভুত পরিবর্তনের জন্য এখানে মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীর বেঁচে থাকাও খুবই কষ্টকর।
নর্থ পোল অর্থাৎ পৃথিবীর আর্কটিক এলাকায় আমরা নানান ধরনের পশুপাখি দেখতে পাই, যেমন আর্কটিক পোলার বিয়ার, স্নো আউল ইত্যাদি। এই সমস্ত প্রাণীরা এই এক্সট্রিম ওয়েদারকে এডাপ্ট করে ফেলেছে। তবে অপরদিকে যদি আমরা আন্টার্কটিকার কথা বলি, তাহলে এটা পৃথিবীর সবথেকে ফাঁকা জায়গা। এখানে কোন ধরনের জীবজন্তুর বেঁচে থাকা প্রচণ্ড পরিমাণে কষ্টকর, অসম্ভব বলতে পারেন। তবে তা সত্ত্বেও এই কঠিন এনভাইরনমেন্টের মধ্যেও কিছু পোকামাকড় বেঁচে থাকে।
আণ্টার্কটিকা একটা দ্বীপ, যাকে ঘিরে আছে বিশাল বড় আন্টার্কটিক ওশান। এখানকার প্রচণ্ড ঠান্ডা জলের মধ্যে আমরা সিল, পেঙ্গুইন এবং কিছু পাখি দেখতে পাই। তবে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার থেকে এই দুটো এলাকার সবথেকে বড় ডিফারেন্স হলো এখানে গাছপালা একেবারে নেই বললেই চলে। তবুও পৃথিবীর আর্কটিক এলাকায় প্রায় ২২০০ আলাদা আলাদা ভাস্কুলার প্লান্টের প্রজাতি পাওয়া যায়। কিন্তু আন্টার্কটিকা গাছপালার জন্য আরো বেশি কঠিন এলাকা, যে কারণে এখানে মাত্র দু-তিন ধরনের উদ্ভিদ সারভাইভ করতে পারে, যেগুলো হলো ভাস্কুলার প্লান্ট, হেয়ার গ্রাস এবং স্যাগিনা প্রকিউম্বেন্স।
সুতরাং, আমরা বুঝতে পারলাম গাছপালার জন্য পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর থেকে পৃথিবীর উত্তর মেরু তুলনামূলক ভালো এলাকা। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এই এলাকাগুলো থেকে মানুষ সারভাইভ করতে পারে। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু এবং উত্তর মেরু খুবই হস্টাইল জায়গা। এখানে লম্বা সময় ধরে মানুষের সারভাইভ করা খুবই কঠিন কাজ।
তবে তা সত্ত্বেও উত্তর মেরুতে প্রায় ২০,০০০ বছর থেকে মানুষের বসবাস হয়ে এসেছে। এভলিউশনের জন্য এখানকার মানুষ এই অতিরিক্ত তাপমাত্রাকেও সহ্য করতে পারে। বর্তমানের এস্টিমেট অনুযায়ী, উত্তর মেরুতে প্রায় চার মিলিয়ন মানুষের বসবাস আছে আর এখানের অনেক জায়গায় আপনি মর্ডার্ন টাউন এবং শহরও দেখতে পাবেন।
কিন্তু যখন কথা আসে দক্ষিণ মেরুর অর্থাৎ আন্টার্কটিকার, তখন গল্পটা একেবারে ১৮০ ডিগ্রি পাল্টে যায়। কারণ ঐতিহাসিকভাবেও এখানে মানুষের বসবাসের কোন প্রমাণ বৈজ্ঞানিকরা পায়নি। আর শুধু তাই নয়, এই এলাকাকে এক্সপ্লোর করতে গিয়ে অনেক মানুষ নিজের প্রাণও হারিয়েছে। তাই মানুষ বুঝতে পারে যে বসবাসের জন্য সারা পৃথিবীতে সবথেকে ডেঞ্জারাস জায়গা যদি কোথাও থেকে থাকে, তাহলে সেটা হলো আন্টার্কটিকা অর্থাৎ পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু।
তবে সাইন্টিফিক রিসার্চের জন্য বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিনিধি আন্টার্কটিকাতে পাঠায় রিসার্চের কাজ করার জন্য। তাই রিসার্চের জন্য এখানে কয়েকটা পারমানেন্ট সেটেলমেন্টও আছে, যেখানে বৈজ্ঞানিকরা থাকে। তবে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, নর্থ পোল এবং সাউথ পোলের মধ্যে যে সবথেকে বড় পার্থক্যটা আছে, সেটা এই দুই মেরুর উপরে নয় বরং এদের নিচে আছে।
পৃথিবীর উত্তর মেরু পৃথিবীর একেবারে উপরে অবস্থিত। এখানে কোন স্থলভাগ নেই, বরং উত্তর মেরু আর্কটিক ওশানের উপরে অবস্থিত। অর্থাৎ উত্তর মেরুর নিচে আপনি শুধুমাত্র সমুদ্রই পাবেন। তবে এই উত্তর মেরুর চারিদিকে রাশিয়া, আমেরিকা, কানাডা, গ্রীনল্যান্ডের মত দেশের স্থলভাগ এই উত্তর মেরুকে ঘিরে আছে। অর্থাৎ একচুয়ালি নর্থ পোল কোন স্থলভাগের উপর উপস্থিত নয় বরং সমুদ্রের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত।
তবে যদি দক্ষিণ মেরুর কথা বলা যায়, তবে এটা একটা কন্টিনেন্ট, অর্থাৎ আন্টার্কটিকা মহাদেশের উপরে অবস্থিত। অর্থাৎ দক্ষিণ মেরু উপস্থিত একটা স্থলভাগের উপর। আর ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, এত বড় ভূভাগ হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীর কোন দেশ আন্টার্কটিকার ওপর ক্লেইম করতে পারে না। এখানে আলাদা আলাদা যে সমস্ত দেশের মানুষ যায় তারা শুধুমাত্র রিসার্চের জন্য যায়। কোন দেশ এই এলাকার উপর নিজের দখলদারী করতে পারে না।
তবে ইতিহাসে বহুবার এই এলাকাকে দখল করার জন্য যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে যে এই এলাকাটা এত বেশি ডেঞ্জারাস এবং হস্টাইল যে এখানে মানুষের বসবাস একেবারেই সম্ভব নয়। এরপর একটা পিস এগ্রিমেন্ট হয় এবং যে সমস্ত দেশের ক্লেইম ছিল আন্টার্কটিকাতে, সে সবকিছুকে খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং ঠিক করা হয় যে এখানকার এই বিশাল ভূভাগ শুধুমাত্র রিসার্চের জন্যই ব্যবহার করা যেতে পারে। কোন দেশ এই এলাকার উপর নিজের অধিকার ফলাতে পারবে না।
যেমনটা আমি আগেও বলেছি যে, উত্তর মেরুতে এবং দক্ষিণ মেরুতে ছয় মাস দিন থাকে এবং ছয় মাস রাত। তার সাথে এখানে গরমকাল ছয় মাস থাকে এবং শীতকাল ছয় মাস। এই দুটো সময়েই এভারেজে যদি দেখা যায়, তবে দুই মেরুতেই মোটামুটি সমান সূর্যের আলো পড়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু এত বেশি ঠান্ডা কেন? কারণ লজিক্যালি যদি আপনি দেখেন, যে সমান সূর্যের আলো পড়ে, তার মানে সমান টেম্পারেচার হওয়াই দরকার।
গরমকাল চলাকালীন উত্তর মেরুর টেম্পারেচার জিরো ডিগ্রি এবং শীতকালের সময় মাইনাস ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত চলে যায়। কিন্তু অপরদিকে দক্ষিণ মেরুতে শীতকালীন টেম্পারেচার মাইনাস ৬০ থেকে -৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত নেমে যায়। এমনকি এখানে এমনও এলাকা আছে, যেখানকার টেম্পারেচার মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডেও নেমে যায়। তার সাথে গরমকালেও এখানকার টেম্পারেচার মাইনাস ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকে। তার মানে শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল, দক্ষিণ মেরু মানুষের বসবাসের একেবারেই অযোগ্য।
সুতরাং, এই জিনিসগুলোই আমাদের ভাবতে বাধ্য করে যে এমন কি আছে, যার জন্য পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু পৃথিবীর উত্তর মেরুর থেকে এত বেশি ঠান্ডা? যদি আমরা নর্থ পোলকে উপর থেকে দেখি, তাহলে আমরা জমে থাকা একটা বরফের চাদর দেখতে পাই। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এই জমে থাকা মোটা চাদরের নিচে আছে আর্কটিক ওশান, যেখানকার লবণাক্ত জলের টেম্পারেচার মাইনাস দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে কখনোই নামে না। সুতরাং, এই বরফের চাদরের উপরের টেম্পারেচার যতই ঠান্ডা হোক না কেন, এর নিচের লবণাক্ত জলের টেম্পারেচার মাইনাস দুই এর থেকে বেশি নামে না।
আবার কখনো কখনো এই টেম্পারেচার পজিটিভেও চলে যায়। তার কারণ হলো, এই সমুদ্রে অন্য সমুদ্রের স্রোত এসেও মেশে, যা এই জলের টেম্পারেচারকে বেশি কম হতে দেয় না। আর এই সমস্ত এফেক্টের জন্য এখানকার বরফের চাদর ক্রমাগত গলতে থাকে। দ্বিতীয় সবথেকে বড় কারণ, যার জন্য উত্তর মেরু এত বেশি ঠান্ডা হতে পারে না, সেটা হলো উত্তর মেরুর চারিদিকে বড় বড় স্থলভাগ আছে, যেমন ক্যানাডা, রাশিয়া, গ্রীনল্যান্ড, আমেরিকা ইত্যাদি। যে কারণের জন্য এখানকার ওয়েদার এত বেশি এক্সট্রিম জায়গায় পৌঁছে যায় না।
কিন্তু যখন আমরা দক্ষিণ মেরুতে অর্থাৎ আন্টার্কটিকাতে আসি, তখন এই সমস্ত সমীকরণ একেবারে পাল্টে যায়। কারণ দক্ষিণ মেরুর এত বেশি ঠান্ডা হওয়ার সবথেকে বড় কারণ হলো, এই বরফের চাদরটা একটা মহাদেশের উপরে অবস্থিত। অর্থাৎ একটা বিশাল বড় স্থলভাগের উপরে অবস্থিত। কারণ আন্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম সবথেকে বড় মহাদেশ। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে এখানে বরফের চাদর মোটা হতেই থাকে এবং নিচের স্থলভাগ হওয়ার জন্য খুব দ্রুত গতিতে এই বরফ গলেও যায় না। এজন্য এখানে এমন এলাকা আছে, যেখানকার বরফের চাদর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত মোটা।
তার সাথে এত মোটা বরফের চাদর হওয়ার কারণে সূর্যের যতটা আলো এর উপর পড়ে, বেশিরভাগটাই রিফ্লেক্ট হয়ে যায়, যেটা এই এলাকার টেম্পারেচারকে আরো বেশি কমিয়ে রাখে। তৃতীয় কারণ হলো, আন্টার্কটিকার চারিদিকে কোন রকম স্থলভাগ নেই। এর চারিদিকে আছে প্রচণ্ড ঠান্ডা আন্টার্কটিক ওশান, যার ঠান্ডা বাতাস ক্রমাগত এই মহাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে, যা এখানকার টেম্পারেচারকে আরো অনেক বেশি কমিয়ে দেয়। এছাড়াও, আরো একটা কারণ হলো এই মহাদেশের উচ্চতা। আমরা জানি যে, সমুদ্রতল থেকে আমরা যত উপরে যাব, টেম্পারেচার তত বেশি কমতে থাকে। আর আন্টার্কটিকাতেও আমরা এই জিনিসটাই দেখতে পাই। কারণ আন্টার্কটিকা সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৮২০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত, যার জন্য এখানকার টেম্পারেচার আরো অনেক বেশি কমে যায়। আর এই সমস্ত কারণ একত্রিত হয়ে আন্টার্কটিকাকে পৃথিবীর সবথেকে ঠান্ডা এলাকা বানায়।
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই যদি ভালো লাগে তবে অন্যদের সঙ্গে SHARE & COMMENT করে জানাবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আজকে এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে পরের ARTICLE এ ।
FAQ
উত্তর মেরুর তাপমাত্রা কত?
উত্তর মেরুর তাপমাত্রা সাধারণত শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ৩০-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
দক্ষিণ মেরুর কেন এত বেশি ঠান্ডা?
দক্ষিণ মেরু স্থলভাগের উপর অবস্থিত এবং উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে এটি বেশি ঠান্ডা।
উত্তর মেরুতে কোন কোন প্রাণী পাওয়া যায়?
উত্তর মেরুতে আর্কটিক পোলার বেয়ার, স্নো আউল, এবং অন্যান্য কিছু প্রাণী পাওয়া যায়।
দক্ষিণ মেরুতে মানুষের বসবাস কেন নেই?
দক্ষিণ মেরুতে মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ নেই। এটি অত্যন্ত কঠিন আবহাওয়াযুক্ত।
উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বরফের গঠনে পার্থক্য কী?
উত্তর মেরুতে বরফের নিচে সমুদ্র এবং দক্ষিণ মেরুতে স্থলভাগ। দক্ষিণ মেরুর বরফের স্তর অনেক গভীর।