আপনি কি জানেন, যে আমাদের পৃথিবীতে এমন একটা বস্তু আছে যার দ্বারা তৈরি করা একটা কাগজকে আপনি তো কি দুটো হাত ও যদি ট্রেনে ছেঁড়ার চেষ্টা করে তাহলেও ছিঁড়তে পারবে না। এটা একটা এমন জিনিস যার আবিষ্কার পুরো পৃথিবীর সাইন্টিস্টদের সত্যি আশ্চর্য করে দিয়েছিল। লোহা এবং স্টিল এর থেকে হাজারগুন হালকা এবং মজবুত এই বন্ধুটার এত শক্তিশালী যে এটা এত বেশি প্রেসার কে সহ্য করতে পারে যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। যদি আমরা পারি এই বন্ধুটাকে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে তাহলে আজ থেকে আমরা অনেক বেশি উপকার পেতে পারি। শক্তিশালী হওয়ার সাথে সাথে এটা বিদ্যুতের সুপরিবাহী এর মধ্য দিয়ে খুব ইজিলি বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে এমনকি তামার তার থেকেও হাজারগুণ বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে। শুধু এইটুকুনি নয় যদি এই বস্তুর দিয়ে কম্পিউটারের বানানো যায় তাহলে সেটা বর্তমানে সিলিকন চিপ এর থেকে কয়েক শ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে এবং আমাদের কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনগুলো কে আরো বেশি করে দেবে এটাকে আপনি নিজের বাড়িতে নিজেই বানাতে পারবে ।
আজকে এইটা আমরা জানার চেষ্টা করি
সবথেকে শক্তিশালী এবং হালকা বস্তু সম্পর্কে গবেষণা 2004 এ একটা পেন্সিল থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত কন্টিনিউয়াসলি চলছে এই ভিডিওতে আমরা জানবো যে কি কি করে তৈরি করতে হয় এবং কেন এটা সবথেকে স্ট্রঙ্গেস্ট এবং সবথেকে লেটেস্ট মেটেরিয়াল আর 2004 এর আবিষ্কারের পর এখনো কেন এর সম্পর্কে এত বেশি রেজাল্ট চলছে এমনকি বড় বড় কোম্পানির মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞানের এই নতুন অবতার সম্পর্কে
2004 সালে এন্ড্রয়েড গেম এবং কনস্টান্টিনোপল আবিষ্কার একটা পেন্সিল থেকে করেছিল যখন তারা পেন্সিলের দাস কে একটা সেলুটেপের ওপর লাগিয়ে অনেক বাড়তে থাকে একে অপরের সঙ্গে জোড়া লাগিয়ে সেটাকে খুলে তখন তারা পেন্সিলের ডাস্ট অর্থাৎ গ্রাফাইটের একটা লেয়ার দেখতে পায়। এই মেয়েটা সিঙ্গেল একটা এটমের মতো পাতলা ছিল মানের ওপর গ্রাফাইটের যেটা তৈরি হয়েছিল সেটা শুধুমাত্র কার্বনের একটা প্লেয়ার দিয়েই তৈরি হয়েছিল এটা একটা সিটের মতন ছিল যার মধ্যে কার্বনের প্রত্যেকটা অনু ছাগল পজিশনে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে ছিল একে বলা হয় গ্রাফি ভিডিও গ্রাফি।
গ্রাফাইটের মত স্ট্রাকচার হয় কিন্তু তফাৎ হলো এদের লেয়ারের যেখানে একটা সিঙ্গেল হয় কিন্তু গ্রাফাইট কয়েকটি দিয়ে তৈরি হয় তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে গ্রাফিন হল গ্রাফাইটের একটা সিঙ্গেল একটা প্রশ্ন হল 1 ন্যানোমিটার মানে এক মিটারে থেকে 1 বিলিয়ন ছোট আর এটা পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী মেটেরিয়াল তবে প্রশ্ন আসতে পারে যে গ্রাফাইট হতো সেই একই মেনে নেয়ার দিয়ে তৈরি তাহলে সেটা এত দুর্বল হয় কেন? মানে আমাদের পেন্সিল ও গ্রাফাইট দিয়েই তৈরি হয় তাহলে সেটা এত দুর্বল হয় কেন যে হালকা একটা টোকা লাগলে ভেঙে যায়। আসলে এই প্রশ্ন উত্তর লুকিয়ে আছে এতে স্ট্রাকচারে যদিও গ্রাফাইট গ্রাফিন দিয়েই তৈরি হয় কিন্তু গ্রাফাইটের থাকে তার মাঝখানে অনেক দূরত্ব থাকে যে কারণে এরা দুর্বল হয়ে যায় কিন্তু যদি আমরা গ্রাফাইট এর মধ্যে থাকা গ্রাফিনের লেয়ারগুলোকে এমন ভাবে যাতে এদের মধ্যে কোন জ্ঞান না থাকে তখন ওই পেন্সিল এর মধ্যেই জেলি তৈরি হবে, সেটা গ্রাফিন দিয়ে তৈরি হবে এবং এর ফলে এই পেন্সিলের শক্তি এত বেশি হবে যে আপনি হাতুড়ি দিয়ে পেন্সিল তাকে ভাঙতে পারবেন না।
এটাই হলো গ্রাফাইট এবং ঋণের মধ্যে বেসিক ডিফারেন্স যদি আমরা কোন মেটেরিয়াল কে পারফেক্ট গ্রাফিন দিয়ে তৈরি করতে পারি মানে গ্রাফিনের প্রত্যেক বারের মাঝখানের যদি কল না থাকে তাহলে তার স্ত্রীর থেকেও প্রায় এক হবে এবং হীরের থেকেও বেশি শক্ত হবে গ্রাফিনের সত্যিই একটা খুব হালকা এবং শক্তিশালী পদার্থ এবং এই বস্তু দিয়ে যদি আমরা কোন বস্তুকে তৈরি করতে সফল হয় তাহলে হয়তো সে বস্তুগুলো বাংলায় বন্ধ করে দেবে। শুধু এটাই স্পেশালিটি নয় যে এটা খুব হালকা এবং শক্তিশালী এছাড়াও এর ব্যবহার হতে পারে আর বৈজ্ঞানিক যদি সফল হয় গ্রাফিন দিয়ে কোন বস্তুতে তৈরি করতে তাহলে সেটা আমাদের পৃথিবী কে অনেকটাই পাল্টে দিতে পারে এর সাহায্যে আমরা খুবই হালকা এবং খুবই শক্তিশালী এরোপ্লেন রক্তের সুগার এবং আরও বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে পারব না এত শক্তিশালী এবং হালকা হবে যেটা আগে কখনোই সম্ভব ছিল না। এই গ্রহের সম্পর্কে আরও কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য জানি এবং এটাও জানা আশা করি যে কারা এখন বর্তমানে এই গ্রাফিন কে বানানোর চেষ্টা করছে ।
আপনি যদি সাইন্স কে ভালবেসে থাকেন তাহলে এই ইনফর্মেশন গুলো সত্তি ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে
এই জন্য শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখবেন কোন পদার্থ কত শক্তিশালী সেটা মাপা হয় সেই পদার্থের আল্টিমেট তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ এর উপর ভিত্তি করে। এটা সেই আল্টিমেট চার্জার পরে ঐ বস্তুর ভেঙে যায় স্কুলের বইতে এই সম্পর্কে ইনফরমেশন আছে উত্তর দিলে না গিয়ে আমরা উপরে উপরে ব্যাপারটা একটু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি আসলে আল্টিমেট তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ সেই সাথে কোন বস্তু ভেঙে যাওয়ার আগে পর্যন্তও সহ্য করতে পারে মানে যদি কোন বস্তুকে ভাঙার জন্য আপনি প্রেসার দেন এবং যে প্রেসারে আসার পর সেই বস্তুটা একেবারে ভেঙে যায় সেটাই তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ।
উদাহরণ হিসেবে লোহার ম্যাক্সিমাম তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ 275 মেগাপাস্ক্যাল আরেকটা ভাঙ্গার কথা বলছি মানে আমি ট্রেনের ছাড়ার কথা বলছি মাঝখান থেকে কেটে দেওয়ার কথা বলছি না। এবার যদি আমরা সাধারন স্টিলের আলটিমেট তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ দেখি তাহলে সেটা হল 600 মেগাপাস্ক্যাল এক্ষেত্রে মোটামুটিভাবে বলা যেতে পারে যে আয়রন এবং স্টিল খুবই শক্তিশালী পদার্থ কিন্তু এদের সব থেকে বড় প্রবলেম হল লেগে যাওয়া এবং বেশি শক্তি প্রয়োগ করলে ব্যান্ড হয়ে যাওয়া যে কারণে বৈজ্ঞানিকরা সব সময় এদের জন্য গবেষণা করতে থাকে কিন্তু যদি আমরা গ্রাফিনের তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ কে দেখি তাহলে লোহা এবং স্টিল এর সঙ্গে কোন মোকাবিলায় করতে পারেনা গ্রাফিনের আল্টিমেট তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ 130 মানে 1 লক্ষ 30 হাজার মেগাপাস্ক্যাল তবে গ্রাফিনের তেন্সাইল স্ট্রেঙ্থ শুধুমাত্র এর স্পেশালিটি নয়। আরো কাজ আছে যেটা এত এফিশিয়েন্সি করতে পারে যেটা আপনি ভাবতেও পারবেন না এটা বিদ্যুতের সুপরিবাহী এর মধ্য দিয়ে খুব দ্রুতগতিতে ওয়েস্টেজ ছাড়াই বিদ্যুৎ প্রবাহ হতে পারে যদি আমরা এর সাহায্যে মোবাইল কম্পিউটার এবং বিভিন্ন গেজেটেড বানায় তাহলে বর্তমানে যে সমস্ত গেজেট আমরা ব্যবহার করি তার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি ফাস্ট হবে তাদের প্রসেসিং পাওয়ার অনেকগুণ বেড়ে যাবে। ।
আমরা বড় বড় ক্যালকুলেশন চোখের পলক পড়ার সাথে সাথেই করে ফেলতে পারব আর একটা স্পেশাল ব্যাপার হল যে সব থেকে ছোট অ্যাডাম অ্যাডাম কেউ আমরা এর আর পার করাতে পারি না। এই জন্য একে পৃথিবীর সবথেকে অভেদ্য পদার্থ বলেও মনে করা হয় আর এই স্পেশালিটি টাকে ব্যবহার করে আমরা এমন বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরি করতে পারব সেটা কেবলমাত্র একটা টি-শার্ট এর মত মোটা হবে বর্তমানে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট অনেক ভারী এবং মোটা হয় যে কারণে সৈনিকরা পরে খুব দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে না। কিন্তু গ্রাফিন কে ব্যবহার করে যদি আমরা বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরি করতে পারি তাহলে সেটা এত হালকা এবং পাতলা হবে যে সৈনিকরা বুঝতেও পারবে না যে তারা বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ে আছে এই সমস্ত আশ্চর্য কাজ ছাড়াও গ্রাফিন আরো কিছু স্পেশাল কাজ করতে পারে যেটা পৃথিবীর অন্য কোন মেটেরিয়াল করতে পারে না।
এই ফটোটা কে ব্যবহার করে আমরা পৃথিবীর জল সংকট কেউ কন্ট্রোল করতে পারব সবথেকে নোংরা জল কেউ এর সাহায্যে পরিষ্কার করে ফেলা যেতে পারে এটা সমস্ত ধরনের নোংরা স্বচ্ছ জল বানাতে পারে যেটা হয়তো আরো ফিল্টার ও করতে পারে না এমনকি সমুদ্রের নোনা জল কেউ মিষ্টি জলে কনভার্ট করে দিতে পারে আর এর জন্য আমাদের শুধুমাত্র বানাতে হবে গ্রাফিনের একটা মেমব্রেন। অর্থাৎ পর্দা যেটা ক্রমাগত জল ফিল্টার করতে থাকবে 2018 তে অস্ট্রেলিয়ার কিছু বিজ্ঞানীরা গ্রাফিনের একটা ফায়ার কে ব্যবহার করে সমুদ্রের নোনা জলে পরিবর্তন করতে সফল হয়েছিল এর সাহায্যে আমরা এমন একটা পৃথিবী তৈরি করতে পারি যেখানে কোন পদার্থকে কখনো জং লাগবেনা কারন যদি আমরা এর সাহায্যে কোন প্যান্ট বানাতে পারি এবং ওই পেইন্ট কে কোন বস্তুর ওপর এপ্লাই করতে পারি তাহলে কয়েক বছর পর্যন্তও তাতে কোনো প্রবলেম হবেনা এমনকি সেটা তার নিজের থেকেও অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে যাবে এ ছাড়াও এর সাহায্যে স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে থেকে ব্যাটারির পর্যন্ত বানাতে পারি মনে করা হয় যে এর সাহায্যে তৈরি করা ব্যাটারি মাত্র 15 মিনিটে ফুল চার্জ হয়ে যেতে পারে। তবে সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে একে ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলে ম্যানুফ্যাকচার করা আমরা জানি যে এটাও একটা কারণ রিফর্ম ঠিক যেমনভাবে কয়লা এবং ডায়মন্ড কার্বনের ফ্রম কিন্তু এটা ওদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী বর্তমানে বৈজ্ঞানিকরা শুধুমাত্র এর একটা সিঙ্গেল সিটি তৈরি করতে পারে যদি আমরা এর সাহায্যে কোন বস্তুকে সত্যিই বানাতে চাই তাহলে আমাদের গ্রাফিনের বিভিন্ন শিল্পে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে দুটো সেটের মধ্যে কোন জ্ঞান না থাকে এবং শুধুমাত্র তার সাহায্যে আমরা এই আশ্চর্যকর পদার্থ থাকে ইউজ করতে পারবো ভারতীয় বৈজ্ঞানিক গ্রাফিন কে নিয়ে অনেক রিসার্চ করেছে, যেখানে এর ম্যাগনেটিক নিচের থেকে শুরু করে এর হিট লাইট এবং সুপেরকন্ডাক্টিভিটি উপরে কাজ করা হয়েছে লগ্না ইন নামক একটা কোম্পানিতে ব্যবহার করে সিগারেটের ধোঁয়ায় ফিফটি পার্সেন্ট পর্যন্ত ফিল্টার করতে সফল হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র সেই সমস্ত জিনিস গুলো কে আমাদের চোখের সামনে দেখতে পায় যেগুলোকে সাধারণত আমরা ব্যবহার করে থাকি কিংবা মার্কেটে এভেলেবেল তবে বৈজ্ঞানিকরা আমাদের অজান্তে এমন এমন বস্তু কে নিয়ে সার্চ করছে যেগুলো ভবিষ্যতের পৃথিবী কে অনেকটাই পাল্টে দিতে পারে। আর এর সম্পর্কে আমাদের নলেজ খুবই কম আছে সায়েন্স এবং টেকনোলজি উপর বর্তমানে যে দ্রুত গতিতে চলছে যা ইতিহাসে কখনোই হয়নি এজন্য ভবিষ্যতের পৃথিবী কে আমরা সত্যিই খুব দ্রুতগতিতে আমাদের নিজেদের অজান্তেই এগিয়ে চলেছি।
যদি ভালো লাগে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে কিন্তু ভুলবেন না আপনার কাছে এই আশা রইল, আজকে এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে পরের ARTICLE এ ।