তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হোক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হোক কিম্বা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এ বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে উৎপন্ন বিদ্যুৎকে যতক্ষণ বড় বড় ট্রান্সমিশন লাইনের সাহায্যে আমাদের বাড়িতে না পৌঁছে ততক্ষণ আমরা এই বিদ্যুৎ কে কোন ভাবে ব্যবহার করতে পারিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎকে ট্রান্সমিশন লাইনের সাহায্যে অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রান্সফর্মার তাই চলুন আজকে এই ভিডিওতে আমরা জেনে নিই ট্রান্সফর্মার কি সেটা কিভাবেই বা কাজ করে
কেন ট্রান্সফরমারের সাহায্য ছাড়া দূর দূর পর্যন্ত বিদ্যুতের সরবরাহ কেন সম্ভব নয়?
যার সাহায্যে আমরা বাড়িতে লাইট জ্বালায় টিভি চালায় সেটা হল ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার যাকে কিংবা কিলোওয়াটে মাপা হয় ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ইকুয়াল টু কারেন্ট ভোল্টেজ এই কারণে ফর্মুলাটা দেখে আপনি বুঝতে পারছেন যদি কারেন্টকে বাড়ানো যায় তবে পাওয়ার বেশি হবে। এবং ভোল্টেজকে বাড়ালেও পাওয়ার বেশি পাওয়া যাবে। অতএব হাই ভোল্টেজ এবং কারেন্ট কে ব্যবহার করে আমরা যে পাওয়ার ট্রান্সফার করতে পারব হাই কারেন্ট এবং ভোল্টেজের ব্যবহার করেও আমরা একই পরিমানে পাওয়ার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে পারি ট্রান্সমিশন লাইনের একটা পার্টিকুলার রেজিস্ট্যান্স থাকে ওই দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে বেড়ে যায় আর যখনই আপনি কোন রেজিস্ট্যান্সের মধ্য দিয়ে কারেন্ট কে পাস করাবেন তখন সেখানেই হিট উৎপন্ন হবে, আর যখনই হিট উৎপন্ন হবে তখনই ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি এনার্জি টা নষ্ট হয়ে যাবে পাওয়ার লস হবে ।
জুনের ফাস্ট ল অনুযায়ী স্কোয়ার ইনটু রেজিস্টেন্স পাওয়ার লাইট উৎপন্ন হওয়া মানে একটা পরিমাণ বিদ্যুৎ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপন্ন হচ্ছে অথচ আমাদের বাড়ি পর্যন্ত আমাদের কাজের জায়গা পর্যন্ত পৌঁছে না তাই পাওয়ারলাইন ম্যানেজ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ইকুয়াল টু কারেন্ট রেজিস্ট্যান্স এবং পাওয়ার কারেন্ট ভোল্টেজ কারেন্ট ভোল্টেজ এবার এই ফর্মুলাটা যদি আমরা বর্ষায় তবে আমরা দেখতে পাবো যে ইকুয়াল টু এমসি স্কোয়ার ভালো করে দেখুন এটাকে দেখে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, যে হিটলারকে যদি আমাদের কম করতে হয় তবে ভোল্টেজের পরিমাণটা আমাদের যতটা সম্ভব বাড়াতে হবে এই কারণে বড় বড় ট্রান্সমিশন লাইনের ভোল্টেজ কয়েক হাজার ভোল্ট থাকে যাতে হিটলারকে মিনিমাম রাখা যায়। কিন্তু এত হাইভোল্টেজ কে আমরা বাড়িতে কোন ভাবে ব্যবহার করতে পারব না তাই বাড়িতে ব্যবহার করার জন্য এই ভোল্টেজকে আমাদের step-down করাতে হয়। আর এই কাজটাই করে আমাদের ট্রান্সফর্মার যাহাই টেনশন লাইনের হাই ভোল্টেজ কারেন্ট কে নিয়ে তাকে step-down করে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয় তবে এবার প্রশ্ন হল যে ট্রান্সফর্মার এই কাজটা কিভাবে করে যখন অল্টারনেটিভ কারেন্ট কোন কয়েল এর মধ্য দিয়ে পাস করে তখন সেটার কনস্ট্যান্ট চেঞ্জিং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স তৈরি করে।কয়েল এর মধ্য দিয়ে যদি আমরা কাঁচা লোহার কোন লোককে পাস করায় তবে ওই ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স ওই কাঁচা লোহার মধ্যে কনসেনট্রেটেড হয়ে যায় এবং এর অপজিট সাইডে যদি আমরা আরও একটা কয়েল তৈরি করে তবে এর মধ্যেও একটা ভোল্টেজ তৈরি হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয়ে যায় এবার মজার ব্যাপার হল যে ভুলটা তৈরি হবে সেটা অনুপাতের সঙ্গে সমানুপাতিক।
মানে প্রাইমারি অব্দি থাকবে তার থেকে সেকেন্ডারি কলেজের সংখ্যা বেশি হয় তবে সেকেন্ডারি ভোল্টেজ বেড়ে যাবে আর যদি সেকেন্ডারি কোয়েলের সংখ্যা কম হয় তবে ভোল্টেজ কমে যাবে। ঠিক এইভাবে ট্রান্সফর্মার কে ব্যবহার করে ভোল্টেজ কমাতে বা বাড়াতে পারি।
আপনারা আপনাদের পাড়াতে ট্রান্সফর্মার নিশ্চয়ই দেখেছেন………
ট্রান্সফরমারের মেইন পার্ট টা হল এর ট্যাংক এর মধ্যেই লোহার করে থাকে এবং ওই পুকুরের মধ্যে তামার তারের ওয়াইন্ডিং থাকে যাকে কোয়েল বলা হয় এবং তামার কয়েল কেকের মধ্যে রেখে ফাঁকা জায়গা দেওয়া হয় ট্রানসফর্মের মধ্যে থাকে সেটা একটা বড় কাঁচা লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় না একে অনেকগুলো ছোট ছোট লোহার প্লেট কে একসঙ্গে লাগিয়ে মোটা করা হয় এই কোডের মধ্যে তামার তারের কয়েল তৈরি করা হয় দু রকমের হয় একটা প্রাইমারি কয়েল এবং একটা সেকেন্ডারি কয়েলকে মাঝখানে ইনসুলেটর দিয়ে আলাদা করা থাকে এবার ট্রান্সফরমারের এডি কারেন্ট তৈরি হয়ে পাওয়ার লস না হয়। এইজন্য ট্রান্সফরমারের ট্যাংক এর মধ্যে কোন ভাবেই জায়গা ফাঁকা রাখা হয় না থাকা জায়গাতে মিনারেল অয়েল দিয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এবার ট্রান্সফর্মার যখন ফুল্ল ডে থাকে তখন এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয় এবং ট্রান্সফর্মার গরম হয়ে যায় যার ফলে তাদের মধ্যে থাকা তেলটা উঠলে উঠতে পারে। এই কারণে ট্রান্সফরমারের ব্যাংকের সঙ্গে একটা এক্সট্রা ট্যাগ লাগানো থাকে যাকে এক্সপেনশন ট্যাংক বলা হয় এই এক্সপেনশন ট্যাংকে অর্ধেক খালি করে রাখতে হয় যাতে অতিরিক্ত সময় যখন তেল উঠে উঠে তখন সেটা যাতে এক্সট্রা প্রেসার ক্রিয়েট করে ফাটিয়ে না দিতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা রাখতে হয় ট্রান্সফর্মার যখন কন্টিনিউ চলতে থাকে। তখন এর মধ্যে তেল ধীরে ধীরে যেতে পারে তাই এক্সপেনশন ট্যাংকে পুরোপুরি খালি রাখা হয়না অর্ধেকটা খালি রাখতে হয় যখন ব্যাংকের ধীরে ধীরে কমে যায় তখন এক্সপেনশন টাকা এক্সট্রা তেল ওই জায়গাতে ভরে দেয় এবার যদি রিপেয়ারিং এর জন্য ব্যাংক থেকে তেল বের করার দরকার হয় তার জন্যও ট্রান্সফরমারের ব্যাংকের নিজের দিকে একটা রাস্তা করা থাকে ঠিক যেভাবে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করার জন্য নিজে একটা এক্সট্রা জায়গা থাকে মেনটেল কমে যাওয়ার পর এক্সপেনশন ট্যাঙ্ক থেকে যখন এক্সট্রা তেলের মধ্যে প্রবেশ করে তখন এক্সপানশন ট্যাংক এর মধ্যে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। আর ওই ফাঁকা জায়গায় বাইরে থেকে এসে ভর্তি হয় এর মধ্যে বাতাসের মধ্যে কোন ধূলিকণা এবং আদ্রতা অর্থাৎ জলীয়বাষ্প না থাকে তার জন্য এক্সপেনশন ট্যাংক এর মধ্যে একটা ডিভাইস লাগানো থাকে যাকে এক্সপেনশন ট্যাংকের বলা হয় এটা বাতাসের ধূলিকণা কে এবং জলীয় বাষ্পের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয় না এবার যদি ট্রান্সফর্মার চলতে চলতে প্রচন্ড পরিমানে হিট হয়ে যায় তখন একে অটোমেটিক্যালি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটা ডিভাইস থাকে যাকে বলা হয়। এই ডিভাইস টা ইলেকট্রিক এর সঙ্গে কানেক্ট থাকে না এর মধ্যে একটাকে জাহিদ চেঞ্জ করে এবং হিট বেশি বেড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সফরমারকে বন্ধ করে দেয় সাধারণত এক্সপানশন এবং নেট কানেকশন এর মাঝখানে লাগানো থাকে এছাড়াও ট্রান্সফরমারের আরো একটা সেফটি ডিভাইস থাকে যাকে এক্সপ্লোশন এক্সপ্লোশন বলা হয় এটা লম্বা পায়ের মতো একটা ডিভাইস যেটা ট্রান্সফরমারের ব্যাংকের সঙ্গে কানেক্টেড থাকে যখন ট্রান্সফর্মার প্রচন্ড পরিমানে হিট হয়ে যায় তখন এক্সপেনশন কেউ প্রচন্ড পরিমানে প্রেসার বেড়ে যায় এবং ট্রান্সফর্মার ফেটে যাওয়ার চান্স থাকে এই কারণে এক্সপ্লোশন লাগানো হয় যখন ভেতরে প্রচন্ড পরিমানে প্রেসার বেড়ে যায় তখন এক্সপ্লোশন বাল্ব এর সামনের দিকে লাগানো নরম ধাতুর পর্দাকে ভেতরের তেলটা ফাটিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে যাতে মেন্টেন এবং এক্সপেনশন ট্যাংকের কোনো ক্ষতি না হয়।
এবার আপনি দেখে থাকতে পারেন যে ট্রান্সফরমারের বাইরের দিকে লোহার খাঁচা খাঁচা টাইপের তৈরি করা থাকে এটা ঠিক সেই কারণেই তৈরি করা হয় যে কারণে আপনার কম্পিউটারের প্রসেসরের ওপর হিটসিংক লাগাতে হয় এই খাঁচাগুলো ট্রান্সফরমারের কাজ করে ট্রান্সফরমারের মধ্যে তৈরি হওয়া এক্সট্রা হিট হিট সিঙ্ক এর মাধ্যমে পরিবেশের রেডিয়েন্ট হয়ে যায় ট্রানসফর্মের দুধরণের হয় একটা স্টেপ আপ এবং একটা স্টেপ ডাউন তবে আমরা পাড়ায় পাড়ায় যে ট্রান্সফর্মার গুলো দেখে থাকি ওগুলো স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার এখানে হাইটেনশন লাইনের হাই ভোল্টেজ কারেন্ট এবং ভোল্টেজের আমাদের পাড়ায় পাড়ায় ডিস্ট্রিবিউট হয়ে যায় তার সঙ্গে ট্রান্সফরমারের কানেকশন গুলোকে বলা হয় আর এই বুশিং দুধরণের হয় একটা হাইভোল্টেজ আরেকটা ভোল্টেজ হাইভোল্টেজ ওরা থাকে হাই টেনশনের তারগুলো এবং লো ভোল্টেজ থাকে ডিসট্রিবিউশন লাইনের তারগুলো মানে যে লাইনগুলো পাড়ার মধ্যে ঢুকে তবে এই ট্রান্সফরমারের মধ্যে হাইভোল্টেজ কিংবা হাইভোল্টেজ করার জন্য কিছু পরিমাণ এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। এগুলো হলো আইরন কপার লস লিকেজ এবং ইলেকট্রিক লোকগুলো কন্ট্রোল করার জন্য কোর্টে ছোট ছোট লোহার ব্লেড দিয়ে তৈরি করা হয়, এছাড়াও আধুনিক ট্রান্সফরমারের জায়গায় সিলিকন স্টিল কেউ ব্যবহার করা হয় যাতে কম হয় এছাড়া কপারের রেজিস্ট্যান্স এর জন্য একটা লস হয় এছাড়াও ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন লচকে কন্ট্রোল করার জন্য নানান ধরনের টেকনিক ব্যবহার করতে হয় তো বন্ধুরা আশাকরি ট্রান্সফরমারের বেসিক ব্যাপারটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।
যদি ভালো লাগে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে কিন্তু ভুলবেন না আপনার কাছে এই আশা রইল, আজকে এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে পরের ARTICLE এ ।