আপনার মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন এলো বিরিয়ানি কি করে তৈরি করতে হয়, আর এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আপনি সবার প্রথম চলে গেলেন গুগলে যেখানে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট আছে এবং হাজারো প্রসেস আছে কিভাবে বিরিয়ানি তৈরি করতে হয়। যদিও আপনি এটা আপনার মাকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন কিন্তু না আপনি গুগল কে বেশি ভরসা করলেন। কারণ আপনি জানেন গুগল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানে। কিন্তু কিভাবে গুগল সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে যায়? google.com নিজে একটা ওয়েবসাইট তা সত্ত্বেও এর মধ্যে আমরা সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন খুব ইজিলি পেয়ে যাই। একবারও কি আপনার মনে হয় না যে এই গুগল কিভাবে কাজ করে কিভাবে গুগল সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন একত্রিত করে এবং তাদের বিভিন্ন ব্যাক লিঙ্ক দিয়ে পেজের পেজ হিসেবে সাজিয়ে রাখে যাতে আপনার সুবিধা হয়।
তো চলুন আজকে আমরা জেনে নি গুগল কিভাবে কাজ করে।
গুগোল একটা ওয়েবসাইট কিন্তু আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট কে সার্চ করতে হয় তাহলে আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করেন তবে একটা জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে সমস্ত ওয়েবসাইটের ইনফর্মেশন গুগলের কাছে থাকে না যদি আজকে আমি একটা ওয়েবসাইট বানাই তবে সেই ওয়েবসাইট থেকে কিন্তু গুগলের মধ্যে আসতে প্রায় তিন দিন থেকে এক সপ্তাহের মত সময় লেগে যেতে পারে। কারন গুগল নিজের অ্যালগোরিদম রান করবে এবং পৃথিবীতে যত ওয়েবসাইট আছে সেগুলোতে ভিজিট করতে থাকবে এবং তারা কালেক্ট করতে থাকবে এই প্রক্রিয়ার জন্য তার একটু সময় লেগে যেতে পারে। এই কারণে নতুন ওয়েবসাইট গুগলের রাঙ্কিং এ আছে মোটামুটি তিন থেকে পাঁচ দিন বা এক সপ্তাহের মত সময় লেগে যেতে পারে ।এবার যখন আমরা কোনো কিছু গুগলে সার্চ করব ,তখন গুগোল যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোকে কল করে রেখেছে অথবা দেখে রেখেছে এবং সেই ওয়েবসাইটগুলোর ডেটাকে এক জায়গায় করে রেখেছে এবং সেই ওয়েবসাইটগুলোকে যে ইনডেক্সের সাজিয়ে রেখেছে সেই ওয়েবসাইটগুলো আমরা দেখতে পাব। কোন ভগবান নয় যে প্রত্যেক দিন রিয়েল-টাইমে পৃথিবীতে যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলো তৈরি হচ্ছে তাদের সমস্ত ডাটা ইন্সট্যান্টলি দেখাতে পারে।
তাহলে প্রশ্ন হল যে ওয়েবসাইট আছে এগুলো কিভাবে তৈরি করে?
অলৌকিক শক্তি নেই ওয়েবসাইট তৈরি হবে তাদের কাছে চলে আসবে। এই কাজের জন্য ইউজ করে অনেকেই বলে থাকেন কোন ওয়েবসাইটে গুগলের এই স্পাইডার, স্পাইডার মানে একেবারে সত্যি কারের ভেবে নেবে না। একটা বট যখন কোন ওয়েবসাইটে যায় তখন সেই স্পাইডার ওয়েবসাইট সার্চ করতে থাকে। যে ওই ওয়েবসাইটের মধ্যে আর অন্য কোন হাইপারলিংক আছে কিনা ওয়েবসাইটের মধ্যে এমন কোন লিংক যেটা অন্য কোন পেয়ে যেতে বা অন্য কোন ওয়েবসাইটকে লিংক করে এবার জন্য সমস্ত হাইপারলিংক গুলোকে খুজে নেবে। তখন রোবটগুলোকে ইউজ করে আর যে সমস্ত ওয়েবসাইট আছে তাদের মধ্যেও চলে যাবে এবং সেখানে কেউ সার্চ করতে থাকবে। অন্য কোন হাইপারলিংক আছে কিনা এইভাবে যত হবে সেগুলোতে কন্টিনুওসলি সার্চ করতে থাকবে এবং ডাটা কালেক্ট করতে থাকবে। এরকম করতে করতে ইসপাইডার ওয়েবসাইটের তৈরি করে।
এই কারণের জন্যই বলা হয় তার সাথে সাথে যে ওয়েবসাইটকে স্পাইডার স্ক্যান করতে থাকবে তাদের মধ্যে থাকা URL ডেসক্রিপশন কিওয়ার্ডগুলো কেউ সার্চ করতে থাকবে এবং যে পাবে সে গুলোকে ব্যবহার করে নিজের ইন্ডেক্স বানাবে। ইন্টারনেটকে নতুন নতুন আপডেটের জন্য যদি কোন ওয়েবসাইট আপডেট হয় তবে তার আপডেট গুগল কালেক্ট করে নিজেকে SAVE করে রাখে। মানে এটা একটা কন্টিনুওস প্রসেস মানে কন্টিনিউয়াসলি গুগোল এই কাজটা করে চলেছে এরকম মোটেই নয় ,যে ইন্টারনেটের একসঙ্গে করে তারপর সার্চ ইঞ্জিনে আমাদেরকে দেখাতে থাকে। এই রোগগুলো কন্টিনিউ কাজ করতে থাকে এবং কন্টিনিউয়াস লেটেস্ট আপডেট করতে থাকে এবং ব্যাপার হলো গুগোল যদি এতো লেট করে তবে সেগুলোর করার জন্য অনেক বড় বড় সার্ভার এর দরকার হয়। তাই সারা পৃথিবীতে গুগলের অনেক বড় বড় সার্ভার চারিদিকে ছড়িয়ে আছে।
এবার এটা তো হয়ে গেল গুগল কিভাবে এডিট করে তবে আমরা যখন কোন কিছু গুগলে সার্চ করি তখন সেই প্রশ্নটা কিভাবে কাজ করে, আপনি সার্চ করেন বিরিয়ানি কিভাবে তৈরি করতে হয় কিংবা ধরুন হাউ টু মেক চিকেন বিরিয়ানি চিকেন বিরিয়ানি যে ওয়েবসাইটে থাকবে কিংবা ডেসক্রিপশনে থাকবে সেই ওয়েবসাইটগুলোকে গুগোল নিজে ওয়েবসাইটগুলোকে অথেন্টিক মনে হবে এবং মনে হবে এরমধ্যে ভিজিট করে এবং এগুলোকে RANKING এর মাধ্যমে উপরের দিকে রাখবে। তারপর ওয়েবসাইটগুলোকে গুগোল আবার স্ক্যান করবে এবং কয়েকটি কোশ্চেন পড়বে যেমন ধরুন চিকেন বিরিয়ানি কি ওয়েব সাইটের টাইটেল আছে কিংবা ধরুন চিকেন বিরানি ডেসক্রিপশনে আছে অথবা ওয়েবসাইটের মধ্যে এমন কি কোন জিনিস আছে যেটা সঙ্গে ম্যাচ করে এছাড়াও ধরুন ওয়েবসাইটের মধ্যে যে সমস্ত হাইপারলিংক আছে সেগুলো সেগুলো গুগোল বারবার চেক করে দেখে আর সেই হিসেবে গুগল নিজের সার্চ রেজাল্ট তৈরি করে এবং আমাদেরকে দেখায়। অথেন্টিক ওয়েবসাইটের মধ্যে যেতে পারি এবং বিনা ঝরঝরে আমাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায় তবে গুগল সার্চের মধ্যে যে রেজাল্ট আমরা দেখি সেটা কন্টিনুওসলি একই থাকেনা বিভিন্ন ধরনের ফ্যাক্টর আছে যার জন্য গুগল সার্চের রেজাল্ট অফ ডাউন হতে থাকে ।তার সাথে চেঞ্জ হতে থাকে নানান ধরনের ওয়েবসাইট এর RANK তার সাথে আরও একটা জিনিস ডিপেন্ড করে সেটা হল সিটিআর অর্থাৎ মানে ধরুন কোনো কিছুকে আপনি করেছেন এবার বলুন মানুষ সার্চ রেজাল্ট এর মধ্যে থেকে কোন একটা ওয়েবসাইট কে বারবার ধরে ভিজিট করছে এবং সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে কিছু টাইম কাটাচ্ছি তখন মনে করবে যে এই ওয়েবসাইটের হাই তখন সাথে সাথে ওয়েবসাইটের ব্যাংকিং একটু বেড়ে যেতে পারে ।তার সাথে এটাও ভ্যারি করে যেকোনো ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কতটা বেশি জেনারেট হয় এরকম ধরনের বিভিন্ন কারণের জন্য কোন ওয়েবসাইটে ব্যাংকিং ডিপেন্ড করে। আরো একটা জিনিস আমাদের বলে সেটা হলো গুগোল সার্চিং ওয়েবসাইট এর কাছে কোন টাকা চার্জ করে না মানে ধরুন যদি কোন ওয়েবসাইট মনে করে যে আমি গুগল টাকা দিয়ে আমার ওয়েবসাইটে ব্যাংকিং বানাবো সেটা কিন্তু কোনভাবেই করবে না ।তবে হ্যাঁ গুগল বিভিন্ন টাকা ইনকাম করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সব কিছু করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা ইনকাম করে সেটা হতে পারে বিভিন্ন ব্লগেও হতে পারে এমনকি ইউটিউব ভিডিও এ্যাড ওয়ার্ডের মাধ্যমে আমাদেরকে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখাচ্ছে এবং সেখান থেকে টাকা কামিয়ে ভূগোলের বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের ইউজ করতে দিচ্ছে ।
যেমন ধরুন গুগোল সার্চ গুগোল ড্রাইভ এর মত এরকম ভালো ভালো সার্ভিসেস যেগুলো আমরা সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারি এবার ধরুন আপনি একটা ওয়েবসাইট বানিয়েছেন কিন্তু আপনি চান আপনার ওয়েবসাইটে না ঢুকেই সেটাও করা যায় এর জন্য গুগোল নিজেই একটা প্রোগ্রাম বা একটা কঠিন বানিয়ে রেখেছে আর আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের রোবট বলে একটা ফাইল তৈরি করে তার মধ্যে গুগলের ঐটা লিখে দেন তবে গুগলের গুগলের আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকবে না তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে এর জন্য কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট গুগলের সার্চ রেজাল্ট আসবে না। যখন স্পাইডার আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকবে এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রোগ্রাম লেখা আছে তখন আর আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে থেকে কোন ডাটা কালেক্ট কোরবে না কিন্তু প্রবলেম এটাই আপনার ওয়েবসাইট গুগলের সার্চ রেজাল্টে আসবে না যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের কমে যাবে কারণ এখন মোটামুটি সবাই সবকিছু সার্চ করে আর গুগল সার্চের মধ্যে যদি আপনার ওয়েবসাইট না আসে তবে বুঝতে পারছেন যে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ওসি জেনারেট হবে না তবে বর্তমানে গুগোল আগের থেকে অনেক বেশি অ্যাডভান্স হয়ে গেছে এমন কিছু জিনিস আছে যার জন্য গুগল চাই যে আপনাকে কোন ওয়েবসাইটে ঢুকতে হয় তার রেজাল্টা আপনি গুগলের সার্চ এর মধ্যেই পেয়ে যান ধরলেন প্রেসিডেন্ট অফ আমেরিকা আপনি দেখতে পাবেন।
প্রেসিডেন্ট অফ আমেরিকা আর এই ইনফরমেশন আপনাকে কোন ওয়েবসাইটে যেতে হলো না গুগল নিজের মধ্যেই এর রেজাল্ট আগে আপনাকে দেখিয়ে দিলো যদি আপনি গুগলের মধ্যে লেখেন ক্যালকুলেটর তাহলে একটা ক্যালকুলেটর গুগল সার্চের মধ্যে চলে আসে গুগলে সার্চ ইঞ্জিন কন্টিনিউয়াসলি আমাদের অর্থাৎ যারা গুগলে সার্চ ইঞ্জিন কে ব্যবহার করে তাদের বিয়ার মানে তারা কিরকম ভাবে সার্চ করে কিভাবে রেজাল্ট কি জানতে চাই এই গুলোকে ধীরে ধীরে নিজেই বুঝতে পারছে এবং কন্টিনিউয়াসলি নিজেকে আপডেট করছে। সুতরাং একটা টাইম ছিল যখন আমরা গুগলকে চালাতাম তবে বর্তমানে গুগোল আমাদের চালাচ্ছে মানে ধরুন আপনি যদি কোনোকিছুকে সার্চ করেন তবে গুগলের প্রথম পেজ এর মধ্যে যে কোডটা কে বলি আপনি এগুলোর মধ্যে একটা ক্লিক করে আমাদের বলে দিচ্ছে যে কোনটাতে ক্লিক করতে হবে আপনি যদি কোন রাস্তা না জানেন গুগল আপনাকে রাস্তা দেখিয়ে দেবে সেখানে যাওয়ার জন্য আপনি কি কিনবেন, কী পড়বে্ সবকিছুর জন্য গুগোল আমাদেরকে কোনো না কোনোভাবে কন্টিনিউয়াসলি ইনফ্লুয়েন্স করে চলেছে এই কারণে যখন আপনার চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছে হলো তখন সেটা কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা জানার জন্য আপনি নিজের মায়ের কাছে না গিয়ে আগে গুগলের কাছে চলে যান গুগোল যেভাবে বলে সেভাবে আমরা রান্না করে ফেলে।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই যদি ভালো লাগে তবে অন্যদের সঙ্গে SHARE & COMMENT করে জানাবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আজকে এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে পরের ARTICLE এ ।