স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেট কি নামের মধ্যেই আছে মার্কেট অর্থাৎ এটা দু-একটা বাজার যেভাবে কাজ করে। সেইভাবেই একটা স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেটে কাজ করে। বাজারের মধ্যে কোন জিনিসের সাপ্লাই যদি কমে যায় এবং ডিমান্ড বেড়ে যায় তবে জিনিসটার দাম ঔষধের সাথে বেড়ে যায়।
একইভাবে যদি কোন প্রোডাক্টে সাপ্লাই অনেক বেশি হয় এবং ডিমান্ড অনেক কম হয় তবে সেই জিনিসটার দাম কমে যায়। আর এই কনসেপ্টটা শেয়ার মার্কেট ও স্টক মার্কেটে চলে। তবে বলতে পারেন আমাদের সমাজে যে ধরনের লোক আছে, যারা মনে করেন, যে স্টক মার্কেট হলো একটা অন্ধ। যত টাকা ইনভেস্ট করুন না কেন সেটা আর আপনি কোনদিন ফিরে পাবেন না।
আর সাধারনত এই ধরনের লোক মার্কেটে একটা জুয়ার মত মনে করেণ। আবার অপর দিকে আরো এক ধরনের মানুষ আছে যারা মনে করেন ঠিকঠাক ভাবে বিচার বিবেচনা করে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করা যায়। তবে সেখান থেকে অনেক বেশি প্রফিট কমানো যেতে পারে। আর এই ধরণের মানুষরা স্টক মার্কেটে একটা ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর হিসেবে থাকে। তবে এই দুটো ভাবনায় ঠিক হতে পারে। আপনাদের স্টক মার্কেট সম্পর্কে নলেজ এবং এক্সপেরিয়েন্স না থাকে তবে এটা আপনার অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে। অপরদিকে আপনার কাছে যদি সঠিক ইনফরমেশন এবং এক্সপেরিয়েন্স থাকে তবে আপনি হতে পারেন।
তবে এই ছোট্ট ভিডিও টার মধ্যে বেশি স্টক মার্কেট কিভাবে কাজ করে সেটা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা যায়। তবে তার সাথে আমি এডিট করে দেবো যে, এই ভিডিওতে যে সমস্ত ইনফরমেশন আমি দেবো সেগুলো শুধুমাত্র এডুকেশন পারে, সেজন্য এই ভিডিওটা যে আমি আপনাকে স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করার কথা বলবো না কারণ সেটা আপনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা হলো একটা কোম্পানি তরফ থেকে যদি আপনি হন তবে আপনি ওই কোম্পানির অল্প কিছু অংশের মালিকানা অধিকারী হয়ে যাবে। যদি টাটা কোম্পানির 1000 টাকার মধ্যে আপনি একটা শেয়ার কিনে নেন তবে আপনি এক হাজার ভাগের এক ভাগের মালিক হয়ে যাবেন, তবে রিয়েল লাইফের টাটা কোম্পানির মাত্র 1000 টাকা নেই।
যদি আপনি কোন কোম্পানির মালিক হন তবে যেভাবে আপনার জ্ঞান বাড়বে কমবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের হয়।তারাই পায় যাদের কাছে থাকে। তারা কোম্পানিতে ভোটিং রাইট পায়না। কোন কোম্পানির মালিকরা ও করতে পারে। তবে প্রেফারড যাদের কাছে থাকে তারা কোম্পানির লাভের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়। সেটা বছরে একবার হতে পারে আবার দু বছরে একবার ও হতে পারে। মানে ডিভিডেন্ট কখন এবং কতবার দেওয়া হবে সেটা কোম্পানির উপর ডিপেন্ড করে। তবে ব্যাপার গুলো অনেক বেশি কমপ্লিকেটেড। তবে একটা জিনিস থাকা দরকার।
এবার প্রশ্ন হল বড় বড় কোম্পানিগুলো নিজেদের সম্মান নিজে রাখতে পারে এবং তারা নিজেরাই কমাতে পারে। কিন্তু সেটা না করে বড় বড় কোম্পানির শেয়ার মার্কেটে বিক্রি করে। কিন্তু এর থেকে টাকা তোলার জন্য বা শেয়ার করে কোন কোম্পানি প্রচুর পরিমাণে টাকা সংগ্রহ করতে পারে। কোনো কাজ না করে কিংবা কোনো নতুন প্রোডাক্ট বিক্রি না করে একটা কোম্পানি বিক্রি হয়। যখন মানুষ বুঝতে পারে যে ভবিষ্যতে অনেক বড় জায়গায় যেতে পারে। এর মানে একটা ছোট কোম্পানি ও তার ভবিষ্যতের উপর ডিপেন্ড করে। মার্কেট থেকে প্রচুর টাকা সংগ্রহ করতে পারে। আবার যদি কোন কোম্পানীর শেয়ার করতে হয় তবে তার জন্য একটা জায়গা চাই?
আর এখানে আসে স্টক মার্কেট, বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কোম্পানির শেয়ার মার্কেট করে। একটা মিনিমাম প্রাইস অফারিং বলা হয় অথবা শর্টকাটে আইপিও। আর এই কাজটা করার সাথে সাথে কোন প্রাইভেট কোম্পানি পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হয়ে যায়। আবার যখন কোন কোম্পানি তাদের শেয়ারকে শেয়ার মার্কেটে লিস্ট করে। তখন সাধারণ মানুষ এই শেয়ার কিনতে পারে। এগুলোর দাম উঠানামা করে কোন কোম্পানির কাজের ধরনের ওপর। তাদের কাজের পরিমাণ তার সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্কে কি চিন্তা-ভাবনা রাখে। আর এসব ছাড়াও থাকে এক্সপার্টের ওপিনিয়ন। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির কত ইনকাম হচ্ছে সেটার উপর করা হয়। এর মাধ্যমে অর্থাৎ একটা কোম্পানিতে কত টাকায় কত টাকা ইনকাম হবে।
এবার একটু বোঝা যায় যে একটা শেয়ারের দাম একটু সাদা হয় কেন একটা শেয়ার মার্কেটের মধ্যে লক্ষ্য লক্ষ্য ইনভেস্টর থাকে এবং লক্ষ্য লক্ষ্য ইন্ডিভিজুয়াল ট্রেডার থাকে। তারা প্রত্যেকেই একটা কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ধারনা রাখে। যার জন্য তারা ওই কোম্পানির শেয়ারের সঙ্গে ইন্ডিভিজুয়াল ডিসিশন নেয়। কিংবা কেউ শেয়ার ব্যাচে। এসব কিছু ডিসিশন একত্রিত হয়ে একটা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে কিংবা কমিয়ে দিতে পারে। যদি বেশিরভাগ মানুষ একটা শেয়ার কে আণে তবে সেই শেয়ারটা দাম বেড়ে যায়। আর যদি বেশিরভাগ মানুষই একটা বেছে দেয় তবে শেয়ারের দাম কমে যায়।
ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় আমরা চলে এলাম এবং প্রত্যেক ইউনিট কেনাবেচার জন্য একজন ক্রেতা চাই এবং একজন বিক্রেতা। যদি সেটাকে কেনার জন্য ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় তখন সেটার দাম বেড়ে যায়। যদি বিক্রি করার জন্য অনেক বেশি বিক্রেতা চলে আসে তখন সেটার দাম পড়ে যায়। স্টক মার্কেটের ভাষায় এটাকে বলা হয় এক মাসের শুরুর দিকে কেনা বেচা। ম্যানুয়ালি হত মার্কেটের মধ্যে তবে বর্তমানে এটা অটোমেটিক্যালি সফটওয়ারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। স্টক মার্কেট খুব দ্রুত গতিতে ওঠা-নামা করতে পারে।
এরপর আরও একটা প্রশ্ন আপনার সামনে উঠে আসতে পারে সেটা হলো_ আপনি আপরান পরিশ্রম করে ইনকাম করা টাকা কে স্টক মার্কেটের লাগাবে না কেন যখন আমাদের কাছে বেশিরভাগ মানুষেরই এই সম্পর্কে খুব একটা বেশি আইডিয়া নেই আর তাছাড়া আপনি আপনার টাকা কে ব্যাংকে 45 শতাংশ ইয়ারলি ইনকাম করতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই যদি আপনি স্টক মার্কেটে ইনভেস্টমেন্ট সঠিকভাবে করতে পারেন তবে আপনি 45 শতাংশ থেকে অনেক বেশি প্রফিট কামাতে পারবেন।
খুবই সাধারণ ভাবে যদি আপনি পান মার্কেট থেকে। যদি আপনি ইনকাম করতে পারেন তবে আপনি আপনার ব্যাংকে রাখা টাকার থেকে বেশি ইনকাম করছেন। কিন্তু ভেবেচিন্তে করতে হবে। আজকে এই পর্যন্ত।